শাহরুখ খানের জওয়ান দেখিয়ে দিলো যা বলিউড বছরের পর বছর করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই ছবিতে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান, বিজয় সেতুপতি, দীপিকা পাড়ুকোন, নয়নতারা, সানিয়া মালহোত্রা, সুনীল গ্রোভার, এবং এই ছবির পরিচালক অ্যাটলি।
সংক্ষেপে ‘জওয়ান’ :
‘জওয়ান‘ এটাই দেখালো যা বলিউড করতে ব্যর্থ হয়েছে। ‘জওয়ান’-এ অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান যা অ্যাটলি পরিচালিত ছবি । ছবিতে নয়নতারা এবং বিজয় সেতুপতিকেও মুখ্য ভূমিকায় দেখা গেছে। ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জওয়ান। একজন ‘জওয়ান’-এর যাঁর জীবন কিছু ভুল সরকারী নিয়মের জন্য নষ্ট হয়ে যায়, তা এই ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। সেই সরকারী নিয়মকে কাজে লাগিয়েই কিভাবে সরকারি নিয়মের বদল ঘটায়, সমাজের ভুলগুলোকে শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করে, তার ছেলে সেটা নিয়েই এগিয়ে যায় ছবির গল্প। এই ছবি কৃষক আত্মহত্য়ার মতো ঘটনার প্রতিবাদ করে গরীবদের অধিকারের গল্প বলে, স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবনতির কথা তুলে ধরে ও বার্তা দেয় ভোটের মাধ্যমে সঠিক নেতা বা নেত্রীকে বেছে নেওয়ার । এই ছবির গল্প অবশ্যই চিত্তাকর্ষক । এক কথায় বলতে হয়, ছবিটার প্রথম আধঘণ্টা সবচেয়ে টানটান। পরে ছবির গান ছবির গতিকে একটু কমালেও, তা খুব একটা বেশি নয়। শাহরুখ 2 ঘন্টা 49 মিনিট পর্দায় যে জাদু ছড়িয়ে গেলেন, তা লেখা সম্ভব নয়, কেবল দর্শক-এর চেয়ারে বসে উপলদ্ধি করতে হয়। ছবিতে একের পর এক ট্যুইস্ট রয়েছে। যা দর্শকদের চমকে দিতে বাধ্য গল্পের প্রত্যেক বাঁকে। যখন শাহরুখকে সাদা চুল-দাড়ির লুকে দেখা গেল বড়পর্দায়.. তখন মনে হল, বোধহয় আর কেউ হতেই পারেন না এর চেয়ে আকর্ষণীয় বয়স্ক মানুষ । তা যেন ফের একবার প্রমাণ করে দিয়ে গেল ‘জওয়ান’ শাহরুখ যে সত্যিই বাদশা। ছবির গানগুলো বাদ দিলে কেবল একটাই জিনিস থাকে… অ্যাকশন, এন্টারটেনমেন্ট ও এন্টারটেনমেন্ট। শাহরুখের ‘জওয়ান’ এক মুহূর্তের জন্যও হতাশ করবে না।
‘জওয়ান’ ডায়লগ:
জওয়ান অনেকটা দেশি থালির মতো। এটিতে সব ধরণের উপাদান রয়েছে আপনার স্বাদ মেটানোর জন্য ।এই ছবিতে শাহরুখ খানের ফেমাস ডায়লগ “বেটে কো হাত লাগানে সে পেহেলে, বাপ সে বাত কর”। রীতি মতো ঝড় তুলেছে শাহরুখ ফ্যানদের কাছে। সিনেমা হলে আপনাকে ন্যূনতম 2টি বিরতি নিতে হবে কারণ এটি প্রায় 3 ঘন্টা । মমি-ফর্ম এসআরকে, যিনি তার প্রতিটি শত্রুকে ভেঙে চুরমার করে দেন, জিজ্ঞাসা করতে দেখা যায়, “ম্যায় কৌন হুঁ?” (আমি কে?) অভিব্যক্তির সাথে সেই অভিনেতাদের যারা উচ্চ বেতনের চাহিদার কারণে কয়েক মাস কোমায় থাকার পরে শোতে ফিরে আসে। একটি বাচ্চা তাকে প্রতিশ্রুতি দেয়, “আমি বড় হয়ে খুঁজে বের করব তুমি কে!” সাধারণ অ্যাটলি নাটকে যোগ করা। ত্রিশ বছর পরে, আমরা বিক্রম রাঠোর এসআরকে পেয়েছি, একজন পুলিশ মমি-ফর্ম এসআরকে, যিনি তার প্রতিটি শত্রুকে ভেঙে চুরমার করে দেন, জিজ্ঞাসা করতে দেখা যায়, “ম্যায় কৌন হুঁ?” (আমি কে?) অভিব্যক্তির সাথে সেই অভিনেতাদের যারা উচ্চ বেতনের চাহিদার কারণে কয়েক মাস কোমায় থাকার পরে শোতে ফিরে আসে। একটি বাচ্চা তাকে প্রতিশ্রুতি দেয়, “আমি বড় হয়ে খুঁজে বের করব তুমি কে!” সাধারণ অ্যাটলি নাটকে যোগ করা। ত্রিশ বছর পরে, আমরা বিক্রম রাঠোর এসআরকে পেয়েছি, একজন পুলিশ অফিসার রবিনহুড হয়েছিলেন। তিনি নাগরিকদের জন্য জিনিসগুলি সহজ করার জন্য সরকারের যা করা উচিত তা করছেন। বিক্রম এখন কি সেই SRK কে আমরা শুরুতে দেখেছিলাম? নাকি তারা আলাদা মানুষ? যদি তারা সত্যিই ভিন্ন হয়, তারা কারা? গল্পের সূচনাটাই এমন।
জওয়ান মুভি রিভিউ ( Shahrukh khan Jawan Review) :
অ্যাটলির ফিল্মোগ্রাফির মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরে, আপনি বুঝতে পারবেন কীভাবে তাদের সবার মধ্যে একটি বিশাল সাধারণতা রয়েছে; এইভাবে তিনি দর্শকদের একটি বৃহত্তর অংশের জন্য চলচ্চিত্র তৈরি করেন। গদর 2 এত ভাল করার জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য, কারণ; এটি এমন একটি অংশের জন্য তৈরি করা হয়েছিল যা ভারতের থিয়েটারে যাওয়া ভিড়ের 80% এরও বেশি নিয়ে গঠিত। অ্যাটলি নিঃশব্দে অনেক আগে থেকেই একই কাজ করে আসছে।
‘জওয়ান‘ ছবি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে আপনি যখন অনুভব করতে শুরু করেন, তখন একটি ‘সীটি-মার’ সিকোয়েন্স আপনার জন্য অপেক্ষা করবে। ‘জওয়ান’ ছবিতে আপনি শাহরুখ খানকে বিভিন্ন টুপি পরা অবস্থায় দৃশ্যত উপভোগ করতে দেখতে পারেন। কিছু কারণে, শাহরুখ খান হিন্দি সংস্করণের জন্য ডাবিং করার জন্য একটু অতিরিক্ত প্রচেষ্টা নেয় এবং ভয়েস-টু-বডি মুভমেন্টের ক্ষেত্রে কিছুটা ‘অতিরিক্ত’ হিসাবে আসে। হ্যাঁ, এটি আপনাকে অপরিচিত, গাব্বার ইজ ব্যাক-এর কথা মনে করিয়ে দেবে, তবে এটি একটি সত্য ফিল্ম হওয়ার জন্য (গব্বরের চেয়ে…) আরও ভাল ডিজাইন করা হয়েছে। ‘জওয়ান’ সিনেমায় শাহরুখ খান সম্ভবত তার সেরা পারফরম্যান্স প্রদান করেন। রইস ও পাঠান ভালো উদাহরণ। এটি একাধিক অক্ষর চিত্রিত করার একটি স্তর যোগ করে, এবং SRK এটি আবার ফুটিয়ে তোলে । তার তিনটি চরিত্র একটি চিহ্ন রেখে যায়, এবং বাকিগুলি কেবল বিশৃঙ্খল আখ্যানকে ইন্ধন দেয়। চরিত্রগত দিক থেকে, নয়নতারা শাহের বিপরীতে একটি নির্ধারক ভূমিকা পালন করে, কিন্তু আমি আশা করি এটি গল্পের লাইনে কিছু প্রভাব ফেলতে আরও গভীরতা পেত। প্রতিটি ফ্রেমে তাকে শ্বাসরুদ্ধকর দেখায়। তবে পর্দায় হিরোগিরি তখনই আকর্ষণীয় লাগে হিরোর , যখন নেতিবাচক চরিত্র ক্রুড় ও নিষ্ঠুর হয় । বিজয় সেতুপতি অনবদ্য এই ভূমিকায় বিজয় সেতুপতি অনবদ্য। পর্দায় তিনি যতবার এসেছেন, কার্যত ভয় ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। বিজয় সেতুপতি এখানে যা করতে তৈরি করেছেন তার চেয়ে অনেক উন্নত অভিনেতা। তিনি আরও ভালো লেখার দাবিদার ছিলেন।
অ্যাটলির নির্দেশনা প্যাটার্ন অনুসরণ করে, আপনি লক্ষ্য করবেন কিভাবে তিনি একটি ছবিতে একাধিক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। ভক্ত-উপাসনার বীরত্বের প্রতি তার ফোকাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সম্ভবত গল্প এবং চিত্রনাট্যের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি আবার গ্রাউন্ড অ্যাকশন, হ্যান্ড-ব্যাট যা সবচেয়ে বিস্তারিত ক্যামেরাওয়ার্ক পায়।
সাপোর্টিং কাস্ট থেকে, সানিয়া মালহোত্রা এবং সুনীল গ্রোভার কোনও চিহ্ন রেখে যেতে ব্যর্থ হন। দীপিকা পাড়ুকোন, তার বিশেষ ক্যামিওতে, তার 90-এর দশকের অবতারে কিছু অতি-সংবেদনশীল শাড়ি পরে উম্ফি দেখাচ্ছে৷
জওয়ান একটি বড় পর্দার চমক। জওয়ান দেখার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করুন নীচের Comment Box এ।
